দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া অনিশ্চত হয়ে পড়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিতে না পারায় তা পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ অবস্থায় দু’টি পাবলিক পরীক্ষা অন্তত দুই মাস পেছানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। গতবছর করোনা সংক্রমণের কারণে যথাসময়ে এসএসসি পরীক্ষা হলেও কয়েক দফা পিছিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। অটোপাস দিয়ে এইচএসসির শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করা হয়। এবছর এসএসসিতে ৬০ দিন এবং এইচএসসিতে ৮৪ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে জুন-জুলাইয়ে এসএসসি এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে বোর্ড এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। এইচএসসি হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। তবে সেটি দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এবার পরীক্ষা নেওয়া হবে। আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে ২৪ মে থেকে ক্লাস করার কথা ছিল। তবে বিরূপ পরিস্থিতিতে সবই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ নেই। তাই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply